
বগুড়ার ধুনটের উত্তর কান্তনগর বাঁশহাটা গ্রামে আঞ্জুয়ারা খাতুন (৩০) নামে এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনার পর স্বামী দুলাল প্রামানিক ও সতীন চায়না খাতুন পালিয়ে গেছে। বুধবার সকালে পুলিশ শয়ন ঘরের মেঝে থেকে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। স্বজনরা দাবি করেছেন, সতীনের প্ররোচনায় স্বামী তাকে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, ভিকটিমের গলায় আঘাতের দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে।
জানা গেছে, ধুনট উপজেলার উত্তর কান্তনগর বাঁশহাটা গ্রামের রইচ উদ্দিনের ছেলে দুলাল প্রামানিক প্রায় ১৫ বছর আগে পার্শ্ববর্তী রাঙ্গামাটি গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের মেয়ে আঞ্জুয়ারা খাতুনকে বিয়ে করে। দুলাল এর আগে দুই স্ত্রীকে তালাক দেয়। সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
তিন মাস আগে আঞ্জুয়ারার অনুমতি ছাড়া ঈশ্বরঘাট গ্রামের ইলা মন্ডলের মেয়ে চায়না খাতুনকে (২২) বিয়ে করে। এ নিয়ে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। ভিকটিমের ভাই আবদুল হান্নান অভিযোগ করেন, স্বামী দুলাল ও সতীন চায়না পথের কাঁটা দূর করতে আঞ্জুয়ারাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
চায়না খাতুন মঙ্গলবার বিকালে কৌশলে তিন সন্তান দোলেনা খাতুন, হাসান ও হোসেনকে রাঙ্গামাটি গ্রামে নানার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সন্ধ্যার পর শয়ন ঘরে শ্বাসরোধে আঞ্জুয়ারাকে হত্যার পর লাশ মেঝেতে রেখে দুলাল ও চায়না পালিয়ে যায়।
ধুনট থানার ওসি (তদন্ত) পঞ্চনন্দ সরকার জানান, ঘটনার পর স্বামী ও সতীন পালিয়ে যাওয়ায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
Leave a Reply